মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি::
একটা জাল ভোট দেয়ার জন্য নিজের জন্মদাতা পিতাকে অস্বীকার করলেন রুবেল নামে এক কলেজ ছাত্র। এ সময় ওই কেন্দ্রে রুবেলের পিতা নৌকা মার্কার পুলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) হাতীবান্ধা উপজেলার ২নং গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে গড্ডমারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদযালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রয়াত চেয়ারম্যান ডাঃ আতিয়ার রহমানের মৃত্যুর পর তার ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল(নৌকা) নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আকতার হোসেন খন্দকার মোটরসাইকেল প্রতিক, বিএনপি মনোনীত শফিকুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতিক, জাতীয়পার্টি মনোনীত আনোয়ার হোসেন লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়। লাঙ্গল এবং ধানের শীষের সেরকম সমর্থন না থাকলেও নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেনের সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় হিংসা পরায়ন হয়ে ওঠে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল(নৌকা)।
যে কারনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শ্যামল প্রায় প্রতিদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেনের উপর হামলা ও হুমকী অব্যহত রাখে। এ ব্যাপারে আকতার হোসেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে একে একে ৬ বার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রশাসন অভিযোগ আমলে না নেয়ায় দিন দিন বেপড়োয়া ভাবে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে যায় নৌকার প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও তার লোকজন।
এই নির্বাচনে গড্ডমারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতিকের পুলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আবেদ আলী নামের ব্যক্তি। আর ওই বুথেই জাল ভোট দিতে আসে আবেদের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রুবেল মিয়া। এ সময় ধানের শীষের পুলিং এজেন্ট চ্যালেঞ্জ করলে রুবেল তার বাবাকে চিনেন না বলে ভোট দিয়ে চলে যান।
এছাড়াও ইউনিয়নের প্রতিটি সেন্টারে নৌকার কর্মী সমর্থকরা নিজেরাই ব্যালট পেপারে সীল মারেন। নৌকা প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতিকে প্রকাশ্যে সীল মারায় বিএনপি জাতীয়পার্টির প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একযোগে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বয়কট করে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি তিন প্রার্থীই সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষনা দেন। তারা বলেন, নির্বাচনের গনসংযোগ করার সময় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শ্যামলের লোকজন আমাদের তিন প্রার্থীর কর্মীদের উপর প্রায় সময় অতর্কিত উপর হামলা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও তাদের সামনেই আমাদের উপর হামলা চালায়। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট গ্রহন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানানোর পরও নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো পুলিশের সামনেই নৌকার সমর্থকরা প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারে।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রারথী আকতার হোসেন খন্দকার বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর পরই তার জন সমর্থন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার প্রার্থী শ্যামল প্রকাশ্যে তাকে মেরে ফেলার ঘোষনা দেন। এব্যাপারে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।